প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, June 22, 2013

গাছতলে ও অন্যান্য -



গাছতলে ও অন্যান্য -





গাছতলে
কেউ কী এখনো দূরে
গাছতলে
প্রতীক্ষায় বসে আছে কারো?
সে কী জানে
নিকটের মানে
দূর থেকে বহুদূর আরো? –

আমার প্রতীক্ষা নেই
শুধু স্থির বসে থাকা আছে –
হেমন্তের পাতাহেন
চিঠি লেখা শ্রাবণের কাছে ...



ফেরার প্রতিটি পথ...
ফেরার প্রতিটি পথ কাঁটাঝোপ, মরীচিকা, খাদ -
-না মেলা ছন্দ যেন – যেন সেই বনের প্রবাদ –
ঢাকে ঢাকে প্রচারিত – গ্রাম থেকে গ্রামের গভীরে –
তবুও নিষাদ ভাবে সন্ধ্যাগমে গৃহে যাবে ফিরে ...


খুঁটিতে বল্মীক বাসা তবু প্রীতি দাওয়াতে ও খড়ে
নিষাদীর নাভিকুন্ড, ঘাসজমি, মেঠোপথ, গুহার ইঙ্গিত –
ক্ষুধার্ত সিংহীর ভয়ে ধুনী জ্বেলে ঘুমের শিয়রে
স্মৃতিজলে ডুবে গিয়ে তুলে আনা পরাহত শীত ...

তবু পথ দীর্ঘতর, যেন সাপ, চেরা জিভ, অশেষ কুন্ডলী –
“কি এক ইশারা” চোখে একা আজো ঐ পথে চলি ...



দিনকানা

কবরে যে শুয়ে আছে
তাকে ছুঁয়ে জেগে থাকে
যতিহীন আমার অক্ষর –
বহু স্বপ্ন আগে ঘুমঘোরে
পীড়িত শারি ও শুক
বেঁধেছিল অনিদ্রার ঘর –

সেই থেকে ঘুম নেই
চিঠি নেই চোখের কোটরে
সেই থেকে স্বপ্নমেধ –
নিহত পালক শুধু ঝরে ...

শেষ ঘুমে ঝরে গেছে
প্রজাপতি, শাদা ঘাসফুল –
দিনকানা চক্ষু তাই
জড়ো করে তারা ও তন্ডুল...

ঘুমের শহর

স্মৃতির বজ্‌রা গুলি
কবে খুঁজে পাবে নীল
ঘুমের বন্দর?

পশ্‌লা বৃষ্টির শেষে
মেঘেরা গড়েছে দেখি
মেঘে মেঘে বিরতির ঘর –

বিগত ঋতুর মতো
এ ঠিকানা পার হয়ে কবে
চলে গেছে কারা যেন
অবলীল সাঁতারে, শ্রাবণে –
তাদের পায়ের চিহ্ন
জাগে আজো মানচিত্রে?
পালকের বনে?

স্মৃতির বজ্‌রা গুলি
সেইরাত্রে ভেঙ্গেছে নোঙ্গর –
গৃহে ফেরা নেই, তাই
খুঁজে ফেরে ঘুমের শহর

২।

ঘুমের বিপন্ন নৌকা
খুঁজে ফেরে স্মৃতির বন্দর –

যদিও স্মৃতিতে তুমি
কোনোদিনই ছিলেনা কোথাও
তবুও তোমারি পথে
ঘূর্ণীঝড়, স্মৃতিকথা,
জল বিশ বাঁও -

ঘুম ঘর