কাউকে কিছু বলা...
১।
ব্যঞ্জনের কথা ভাবো
আলুপোস্ত অথবা এঁচড় –সামান্য দু’টি কিংবা তিনটি
মানুষের –
তারপর
‘ আহা, এটা জব্বর হয়েছে-
আরো এক হাতা দেবে?’
এই মাত্র সফলতা পেতে
সতর্ক প্রস্তুতি লাগে কতো সময়ের?
ভেবে দেখো –
সাতশত বিশ সেকেন্ডে
শুধুমাত্র বারোটি মিনিট।
বারো মিনিট মঞ্চে থাকা –
বারোটি মিনিট মাত্র চোখ কান টেনে রাখা
বড়জোর একশো দর্শকের –
শুধুমাত্র তারি প্রস্তুতিতে
কতোটা সেকেন্ড লাগলো? কতোটা মিনিট?
কতো ঘন্টা? কতগুলি রাত্রি জাগরন?
ভেবে দেখো –
নগদ বিদায় বলতে
হয়তোবা কিছু হাততালি
অথবা ‘শালারা নাম্, স্টেজ খালি কর্’
তারপর ইচ্ছে হলে ভেবে দেখতে পারো
কয়েকটি পংক্তি, যতি আর কিছু উপমা ও মিলে
একটি ছবিকে আঁকা অপরের মনে ও মেধাতে
তার জন্য প্রস্তুতির কতোটুকু সতর্কতা, নিষ্ঠা
আর
রক্তপাত লাগে অন্তরালে ...
নগদ বিদায় বলতে আমৃত্যু প্রতীক্ষা করা
সামান্য ‘আহা’ শব্দ
একটি পাঠক কিংবা
একটি পাঠিকার ...
তার মূল্যে একা বওয়া স্মৃতি, মৃত্যু, ক্ষত -
তারপরও তুমি চাও
কবি হোক অভ্যন্তরে ক্রিয়াপদ-
অপরের মতো?
২।
‘নাটক করা’ এই দুটি শব্দ এখনো
রক্তে জোয়ার নিয়ে আসে –
যেহেতু নাটক করতে দল লাগে আর
দল কোনোদিন আমি নিজে আর গড়তে পারবোনা
অথবা পারবোনা আর ভিড়ে যেতে
অন্য কোনো দলে
তাই জানি নাটক করাও আর এ জীবনে আমার হবেনা –
তবু এ ‘নাটক’ শব্দ শুনলে পরেই
শোনিতের রাজপথে নেমেপড়ে কয়টি যুবক –
হাটে গিয়ে গোল হয়ে
গান গায় হাতে তালি দিয়ে ...
হাটুরেরা সব ফেলে ভিড় করে ‘নাটক’টি ঘিরে ...
এখনো ‘নাটক’ শব্দ শুনলে পরেই
স্পট্ লাইট জ্বলে ওঠে
শোনিতের পথিমধ্যে কোনোও গলীতে ...
অথচ নাটক করতে দল লাগে আর
দল কোনোদিন আমি নিজে আর গড়তে পারবোনা
অথবা পারবোনা আর ভিড়ে যেতে
অন্য কোনো দলে
তাই জানি নাটক করাও আর এ জীবনে আমার হবেনা –
তবু এ ‘নাটক’ শব্দ শুনলে পরেই
পাগল পাগল লাগে গভীরে কোথাও –
টের পাই সব মঞ্চ ছেড়ে দিয়ে আমি
গঞ্জের হাটে ফের চলে যেতে চাই
কানু কিংবা সিদো সেজে
অনর্থক হাততালির লোভে -
তাই দুটি নাটকের লোক
বাড়ি এলে গৃহিনীর অসুস্থতা ভুলে
তাদেরকে খেয়ে যেতে বলি –
তারপর রিক্সা করে
পৌঁছে দিয়ে আসি মধ্যরাতে –
না, কোনো দুঃখ কিংবা অসুখ অথবা
নিজের ফ্রেক্চার হওয়া কোমরের কথা
ঐ সময় আমার আর মনেও থাকেনা।
এই ভুলে থাকা টুকু
কেড়ে নিতে তুমি যেন হাত বাড়িওনা -