প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Monday, August 26, 2013

নোয়াহ্‌’কে





নোয়াহ্‌’কে

ঈশ্বরের পাপ গুলি ধুয়ে দেবে পরিপাটি করে
তাই এত মাঝি মাল্লা, খালাসী ও শুভ্র পারাবত -
জাহাজের খোল গড়া সঙ্গোপনে শতেক বছরে,
সম্বতসরের খাদ্য কচি ভেড়া, শাদা ঐরাবত ...

ঈশ্বরের পাপ গুলি ধুয়ে দেবে পরিপাটি করে
পরিবর্তে সার্কাসের সর্বময় একা অধীশ্বর
তাই রাতে খাল কেটে নদীজলে এনেছ কুমীর
পুড়িয়েছ ছদ্মবেশে সেই ঋষি শম্বুকের ঘর

সকলে ঘুমালে পরে চুপি চুপি ঈশ্বরের সাথে
সড়িয়েছ গ্রামপ্রান্তে পরাক্রান্ত বাঁধের পাথর
হিংস্র জলের রাশি আপামর গিলে খেতে এলে
বলেছ ‘ এই যে বন্যা দিয়েছেন দয়ালু ঈশ্বর –

আমার জাহাজে এসো, দেবপ্রিয় পুণ্যবান যারা
পাপীরা মরুক্‌ ডুবে, এ পৃথিবী ধুয়ে মুছে যাক্‌’
কেননা তাদের স্ত্রী ও কন্যাদের নাবালিকা বুকে
তখনো স্পষ্ট ছিল ঈশ্বরের দংশনের দাগ ...

তোমার জাহাজে আমি কোনোদিনই যাবোনা, নোয়াহ্‌ -
বরং হাঙ্গর হয়ে জান দেবো তোমার বর্শায়
মাতা ও ভগ্নীর বুকে ঈশ্বরের দংশনের দাগ
অনেকে ভুলেছে, ঠিক, আমি আজো ভুলিনিত, হায় -

ঘুম ঘর