কাফ্কা কাহন
১।
আত্মকথনঃ
জনতার ভিড়ে মিশে জনতার
থেকে
অকস্মাৎ কীটদেহে এই
রূপান্তর
হয়েছে হে, তোমারো, ঈশ্বর,
তুমি তা জানোনা তাই
কীটদষ্ট পুঁথিগুলি নিয়ে
অন্ধকারে আজো নখ নিতেছ
শানিয়ে –
যে জেনেছে এই সত্য তাকে
‘আধুনিক’ এই নামে ডাকে
যে সকল নিবিড় মূর্খেরা
তাদেরি অক্ষরে না’কি
ন্যস্ত আছে সমূহ প্রহরা
সমাজ, সাহিত্য, শিল্প আর
জীবনেরো?
নগর যেতেছে পুড়ে
নিজ মদে বুঁদ তারা,
অর্বাচীন নিরো -
২।
কাফ্কার চিঠির ছায়াতেঃ
‘ এ যাপন দুর্বিষহ লাগে
কেননা এ জীবিকার ডাকে
আমাকে যে যেতে হয় দূরে
কারু থেকে -
মর্মে কারুবাসনার থেকে ..
কারু ঘিরে হেউ ঢেউ এ
বাসনাটি ছাড়া
আমি আর কেউ নই কিছু নই
বলে
যদি না বাঁচতে পারি
একা একা ডুবে যাবো কারুর
অতলে –
অক্ষরের এ সহবাস ছেড়ে
কোনোদিন ভাঁড়েদের সভায়
যাবোনা...’
৩।
কাফ্কার চিঠির ছায়াতেঃ
‘যা কিছুই কারু নয় তাকে
ঘৃণা করি, কেননা বিপাকে
ফেলে তারা, অনর্থক দেরী
হয়েযায় আমার কেবলই
যদি আমি কারুপথ ছাড়া
একপা’ওঅন্য পথে চলি ...’
৪।
আত্মকথনঃ
প্রথম কৈশোর থেকে তুমি
আমার কিনারে হেঁটে হেঁটে
কফিন খোঁজার মতো করে
খুঁজে গেছো আমার স্বভূমি
প্রতিটি বাধাতে প্রতিদিন
একযোগে টুকরো হয়ে
শুধে গেছি ঋণ
অপরের -
কোনোদিন না গিয়ে প্রাসাদে...
তাই আজ উভয়েই প্রেতযোনি,
তবু
ইচ্ছাকরে হাত দিয়ে ছুঁতে
জ্বলন্ত মোমের মতো তোমার
আঙ্গুল –
ভোরে জেগে কীট হওয়া জনতাটি
ছাড়া
টের পাই অন্য সব পরিক্রমা
ভুল...
তাই আমি ছেড়ে আসি
মহাবোধি বাণী ও জীবনি –
এতোদূর এসে তাই বলিঃ
ঈশ্বরের কাছে যতোদূর
কাফ্কার কাছে আমি
ততোদূরই ঋণী।