প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Wednesday, September 11, 2013

কাফ্‌কা ও ঈশ্বর বিষয়ে

কাফ্‌কা ও ঈশ্বর বিষয়ে



প্রকৃত সমাজসেবী পান্নালাল দাশগুপ্ত কথা প্রসঙ্গে কবি কালীকৃষ্ণ গুহ’কে বলেছিলেন যে – এই যে দেশ, এই যে পৃথিবী তাতে যে একাধিক ব্যঞ্জন সহযোগে অন্নগ্রহনের কথা ভাবাও পাপ। - এই উচ্চারন সাময়িক ভাবে হলেও  কালীকৃষ্ণ গুহ’র মর্মে জন্ম দিয়েছিল সেই স্বাভাবিক অপরাধবোধ যা মনুষ্যত্বের অঙ্গ। কালীকৃষ্ণ গুহ’র কলম মারফৎ সেই অপরাধবোধ আমারো মর্মে ফিরে জেগেছিল সাময়িক। এই অপরাধবোধটুকু, প্রকৃতার্থে জাগানোর কথা প্রকৃত ঈশ্বরের। - যে সব শিল্পীর অক্ষর আমার মর্মে সেই অপরাধবোধ জাগায় তাঁরাই আমার কাছে ঈশ্বর । কাফ্‌কা তাঁর রচনায়, দিনিলিপিতে, চিঠিতে – প্রতিটি যতিতে যা’ই বলেন তা শুধু আমাদের এই গোষ্ঠীগত অপরাধের কথাই নয়, আমাদের হয়ে ঐ মানুষগুলি, যাঁদের নিরন্ন থাকার বিনিময়ে আমাদের একাধিক ব্যঞ্জনসহ অন্নগ্রহন, তাদের কাছে প্রার্থনা করেন ক্ষমাও। তাই ঈশ্বর আর কাফ্‌কা আমার কাছে সমার্থক।
পক্ষান্তরে কত ভক্ত-সাধককেই দেখি কি নিশ্চিন্তে নির্লজ্জ ভুরিভোজ খেয়ে ‘ঈশ্বর’এর স্বঘোষিত বড়পুত্র হয়ে বাণী ছড়াচ্ছেন। হায়!

ঘুম ঘর