আমার মুখগুলি
আমার মুখগুলি খুঁজতে এসে দেখি
পাতায় ঘাসে ঘাসে তোমারি মুখ
সিংবাহিনী আমি’ই দেবী যদি
অসুরও আমি আর ধর্মাশোক
সে’ওতো আমি আর এ দুইচোখ
কাঁটায় গেঁথে ফেলে আমিই সুরদাস
এবং ইদিপাস – আত্মভুক্ -
ভাসানে যারা নাচে ঢাকের তালে তালে
আমিই ঢাকী সে’ই, কাঠি ও ঢাক
আমিই মৃন্ময়ী প্রতিমা দশমীতে
শুনেছি নাভিমূলে নদীর ডাক...
যা দেবী...
যে দেবী সর্বভূতে মাতৃরূপে স্থিতা
আমি তারি হৃত পুত্র, হতভাগ্য পিতা।
যে দেবী সর্বভূতে রাত্রিরূপে স্থিতা
রমণ-নিদ্রার পারে জ্বলে তার চিতা।
যে দেবী সর্বভূতে অন্নরূপে স্থিতা
সে’ই গফুরের বিবি, কিষান দুহিতা।
যে দেবী সর্বভূতে পুণ্যরূপে স্থিতা
দায়েপড়ে গণিকা সে, কোড্নাম ‘মিতা’।
যে দেবী সর্বভূতে তৃষ্ণারূপে স্থিতা
শুধু তারি জন্য লেখা এসব কবিতা।।
শুধু সর্বজয়া জানে ...
এখন কিছুই নেই
এখানে কিছুই নেই আর
ঢাকে ঢাকে বিসর্জন বাজে
চেনা আলো চেনা অন্ধকার
গর্জন তৈলের সাথে
ভেসে ওঠে স্রোতের শরীরে
বিসর্জিত মুখিগুলি সারিবদ্ধ হয়ে
প্রতিমার নিরঞ্জন দেখে
জ্যোৎস্নায়, নদীটির তীরে –
চরাচর ব্যাপে নামে
ধূপগন্ধ, অমল-বিষাদ –
শুধু সর্বজয়া জানে
মাদুর্গার এই শেষ রাত...
১৩-১০-২০১৩, করিমগঞ্জ
উদ্যোগপর্বের পরে
উদ্যোগপর্বের পরে
অপর প্রতিটি পর্ব
বিয়োগের মহিমানিহত –
কল্পনার রমণের কাছে
রক্তমাংস পরাহত অন্তরালে জানার পরেও
উদ্যোগপর্বের ছায়া
নাভিমূলে, ঠোঁটেও গ্রীবাতে –
তবু আরো ডিঙ্গা ভাসানো
জন্মদ্বীপের দিকে, কুয়াশার রাতে ...
উদ্যোগপর্বের পরে
অপর প্রতিটি পর্ব
হতোদ্যম, নিহত আবহ –
এই সত্য জানে শুধু
অঘ্রানের মাঠ আর ভীষ্ম পিতামহ...
১৩-১০-২০১৩, করিমগঞ্জ