সে কুন্তল
–-------------
বৃষ্টিদিন। জন্ম-ঋণ
অথৈ মেঘে মেঘে। নেই তো নীল —-
একটি চিল
উড়ছে ডেকে ডেকে
কার সে নাম? জল-পাতাতে লিখে
মেঘ-ঘোড়ায়
ওই যে ধায়
কোন পাড়ার দিকে? “বৃষ্টি হোক”
কার দু’চোখ
কোন জানালা থেকে
মিনতিময়? ঘুমেও রয়
শাপলা হয়ে ফুটে?
বৃষ্টিজল
অনর্গল
সে কুন্তলে ছোটে।
১।১১।২০১৭
সান্ধ্যছবি, শব্দ-রেখায়
–----------------------------
গুচ্ছগোলাপ, দ্রাক্ষাকুঞ্জ এবং পুচ্ছ বনময়ূরীর —-
অস্তরবির রশ্মিছটা, পাঁপড়ি —- মৃত শ্বেতকরবীর,
সন্ধ্যাগমে স্মৃতির রেখা পুঞ্জমেঘে নিমজ্জমান —-
নীড়াভিমুখ পক্ষীডানায় স্তব্ধ-মুখর গোধূলিতান।
দুর্গ-ছবির আনাচকানাচ অন্ধকার না কুজ্ঝটিকা?
দূর-ঝরোখায় একলা জ্বলে শব্দ, সন্ধ্যাদীপের শিখা।
#
শব-শকট, সব শকট হারালো পথ মন্ত্রবলে?
অশ্বারোহী সঙ্গী ছাড়াই আঙ্গুরকুঞ্জ পেরিয়ে চলে।
গুচ্ছ-গোলাপ হাতছানি দেয় অন্ধ শত নর্তকীদের —-
চক্রবালে প্রতীক্ষমান রথাশ্বগজ প্রেতপুরুষের।
#
স্ফটিক পাত্রে দাহ্য সুরা অস্ফুট শীৎকারের ঘোরে
ছড়িয়ে দিল দুর্গদোরে, শ্বেতকরবী, টুকরো করে।
#
অস্তমিত তখন গোলাপ এবং পুচ্ছ বনময়ূরীর।
উদ্ভাসিত শুধু তোমার শব্দগত নগ্ন শরীর।।
২৮।০১।২০১৮