প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, April 28, 2024

পুরনো খাতা থেকে

 


সে কুন্তল

–-------------

বৃষ্টিদিন। জন্ম-ঋণ

অথৈ মেঘে মেঘে। নেই তো নীল —-

একটি চিল

উড়ছে ডেকে ডেকে

কার সে নাম? জল-পাতাতে লিখে

মেঘ-ঘোড়ায়

ওই যে ধায়

কোন পাড়ার দিকে? “বৃষ্টি হোক”

কার দু’চোখ

কোন জানালা থেকে

মিনতিময়? ঘুমেও রয়

শাপলা হয়ে ফুটে?

বৃষ্টিজল

অনর্গল

সে কুন্তলে ছোটে।

১।১১।২০১৭



সান্ধ্যছবি, শব্দ-রেখায়

–----------------------------

গুচ্ছগোলাপ, দ্রাক্ষাকুঞ্জ এবং পুচ্ছ বনময়ূরীর —-

অস্তরবির রশ্মিছটা, পাঁপড়ি —- মৃত শ্বেতকরবীর,

সন্ধ্যাগমে স্মৃতির রেখা পুঞ্জমেঘে নিমজ্জমান —-

নীড়াভিমুখ পক্ষীডানায় স্তব্ধ-মুখর গোধূলিতান।

দুর্গ-ছবির আনাচকানাচ অন্ধকার না কুজ্ঝটিকা?

দূর-ঝরোখায় একলা জ্বলে শব্দ, সন্ধ্যাদীপের শিখা।

#

শব-শকট, সব শকট হারালো পথ মন্ত্রবলে?

অশ্বারোহী সঙ্গী ছাড়াই আঙ্গুরকুঞ্জ পেরিয়ে চলে।

গুচ্ছ-গোলাপ হাতছানি দেয় অন্ধ শত নর্তকীদের —-

চক্রবালে প্রতীক্ষমান রথাশ্বগজ প্রেতপুরুষের।

#

স্ফটিক পাত্রে দাহ্য সুরা অস্ফুট শীৎকারের ঘোরে

ছড়িয়ে দিল দুর্গদোরে, শ্বেতকরবী, টুকরো করে।

#

অস্তমিত তখন গোলাপ এবং পুচ্ছ বনময়ূরীর।

উদ্ভাসিত শুধু তোমার শব্দগত নগ্ন শরীর।।


২৮।০১।২০১৮


ঘুম ঘর