অযাচিত
১।
অনন্ত বারান্দা-রাত, হাঁকডাক, পড়শি স্বজন। কারো বিয়ে?
কি উৎসব? ভুলে গেছে মন। অযাচিত যে এসেছে
সে’ও ছিল পড়শী কখনো। তখনো তো আসতে পারতো,
আসেনি যে কেন …
তখনো তরজা-বেড়া, গ্রহপ্রান্তে ওঠেনি দেওয়াল। বেড়া ভেঙ্গে, পার করে,
তরকারি, টুকরো কথা বিনিময়-কাল। অনায়াসে আসতে পারতো
তরকারি, মাংস-বাটি দিতে কিংবা নিতে। ভুলে ফেলে যেতে পারতো
দুয়েকদিন চুলবাঁধা ফিতে। ফিরিয়ে দেওয়ার ছলে
বেড়া-ভাঙ্গা ট্রাঙ্ক-রোড ধরে যাওয়া যেতো
কেউ-নেই-কোথাও দুপুরে। যায়নি কিছুই ফেলে, অস্পষ্টও
ডাকেনি কখনো। গ্রহান্তর থেকে আজ
অযাচিত এসেছেই কেন? কারো বিয়ে? কি উৎসব? ব্যস্ততার ধ্বস্ত বারান্দায়
কি করে জানলো প্রান্তে পাবেই আমায়? “কে কবে পেয়েছে কিছু,
কোনোদিন, খুঁজে? পাওয়া গেছে শুধু তা’ই, যখন এসেছে যারা,
নিজের গরজে”। — এতো দীপ্ত মেধা তার! এতো স্নিগ্ধ কথার গড়ন!
জানতেনা আগে তুমি? সত্য বলো, মন।
২।
মন তো জানেনা সত্য। মন জানে মায়া। কোথায় সত্যের শুরু
স্মৃতিও জানেনা। কোন ঘাটে কত কড়ি কার কাছে দেনা –
কেবল স্বপ্নই জানে, নিত্য অনিত্য রাতে প্রত্ন মুখোশে
গ্রহান্তর থেকে বার্তা সে’ই নিয়ে আসে। অনন্ত বারান্দা-রাত
জুড়ে আজ কিসের উৎসব? হুড়াহুড়ি-রত ওই
কারা তারা সব? অযাচিত যে এসেছে প্রকৃতই যাঞ্চা তাকে
করোনি তুমি কি? নাকি এ মুখোশ-মুখ
ভিন্নজন ? স্বপ্নে মুখামুখি?
অনন্ত বারান্দা-রাত্রি, হুড়াহুড়ি ভিড়ে এক
অবলুপ্ত, অযাচিত-জন –
মুখ না মুখোশ?
জানবে, নিজের গরজে এসে জানাবে যখন।
—- –
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
৩/০৪/২৪