শেক্ষপীরের প্রতি মিল্টন
কেন তাঁর অস্থিমজ্জা অনর্থক আগলে রাখা
নক্ষত্রের ছায়াতলে মৃত্যুহিম পিরামিড
ঘরে?
মৃত্যুদিনে মূর্খ দীপ জ্বেলে দিয়ে আসা
কেন
কৃমি কীটে ভরে থাকা জন্ম-অন্ধ সমাধি
শিয়রে –
দীপ্তি যাঁর অমলিন প্রতিখানি লিখিত
অক্ষরে?
গো স্মৃতির প্রহরীরা, বিস্মৃতির প্রিয়
গুপ্তচর,
মর্মচোখে যে এখনো যুগান্তের জীবিত ঈশ্বর
কেন তাকে দিতে চাও যাপনের যা কিছু নশ্বর?
দৈববানী হেন তাঁর অতলান্ত প্রতি উচ্চারনে
আন্দোলিত অন্তরাত্মা অদ্যাবধি অজানা
ক্ষরণে।
ছন্দ তাঁর ধেয়ে যাওয়া পাহাড়িয়া নদী অবিরল
-বলে যায় শেষ দৃশ্যে – এ জীবন পদ্মপত্রে
জল।
মহাকাল স্বরচিত এই তৃণশয্যা পেতো যদি
তবে রাজা কিনে নিতো জীবনের মূল্যে এই
মৃত্য নিরবধি।।
[ John Milton এর Sonnet
About Shakespeare এর ছায়ায়]