"দেবতার
গ্রাস"
"মাসি! মাসি! মাসি!'
বিন্ধিল
বহ্নির শলা রুদ্ধ কর্ণে আসি
নিরুপায়
অনাথের অন্তিমের ডাক।
চীৎকারি
উঠিল বিপ্র, "রাখ্ রাখ্ রাখ্!'"- দেবতার গ্রাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঈশ্বরের
রক্তমাংস সহ আমাদের নৈশ ভোজ
বেশ্যা
বোনের ঘরে মাসীর আদরে
মদ্য
ও স্ফুর্তিসহ শেষ হলে পরে
সবাই
ঘুমিয়ে পড়ে।
আমি
একা বসে থাকি মাসির দাওয়ায়।
বোনের
গোপন অঙ্গ যত্ন করে ধুয়ে দেয় মাসি
আর
গান গায় ...
জানিনা
মাতাটি কোথা -
গদাই'এর
কোলে না'কি কালীঘাটে, বাদুড়বাগানে?
এ
লম্পট মুগ্ধ হয়
মাসি'র
বেপথু কন্ঠে, রামপ্রসাদী গানে...
'মাসি!মাসি!মাসি!'
- আমি তোমার রাখাল!
এসো আজ
রক্ষা করো নৃশংস এ জলরাশি থেকে
যদিও
লম্পট তবু আমি সেই লবণ পুত্তলী
সাগরের
নোনা জলে মুহুর্তেই আমি যাব গলে -
গলে
যাব,ভুলে যাব আমাকে বেষ্টন করা অপরূপ রূপের মায়াতে
নির্মাণ
রহস্যভেদ সে'ই ছিল অধমের মর্ম অভিপ্রায়
ডাকো
মাসি, 'মৈত্র'কে ডাকো
সন্ন্যাসীর
ভেক ছেড়ে সে এসে ঝাঁপাক জলে
অসময়ে
বাঁচাতে আমায় ...