প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, December 7, 2014

বিষাদশিবিরে একা





বিষাদশিবিরে একা
বিষাদশিবিরে একা জেগে আছে অদৃষ্টের শ্রান্ত বিদূষক।
বিষন্ন ঈশ্বরগুলি দুঃস্বপ্নের ঘোরে
কেঁপে উঠছে জতুগৃহে, হাড় আর কড়ির প্রাসাদে।
প্রহরীতাঁবুর গায়ে আছড়ে পড়া বাতাসের কোপে
ক্ষয়ে যাচ্ছে অদৃষ্টের স্মৃতিরেখা,ভাগ্যরেখা
আয়ু আর ললাটলিখন।
বিষাদশিবিরপ্রান্তে বৃক্ষগুলি – জন্মঅন্ধ  - শতাব্দীর যখ -
ভাবে – “কার বিষাদের ভার
বয়েনেবে বলে এই দাহ্য বিদূষক
কোন্‌ জন্মে বিক্রি করে কাঁটা আর ঘাসের উষ্ণীষ
কেন যেচে নিয়েছিল কিনে
ভাঁড়জন্ম, হাসিমুখ ও এই ছদ্মবেশ?...”

বিষাদশিবির ঘিরে শুয়েথাকা বিষধর পরিখার জলে
আত্মঘাতী নর্তকীটি শুধু
কুয়াশায় জানু খুলেবসে
মাঝে মাঝে বলে সেই ধর্মকথা, বেদান্ত ও পুরানকাহিনী –
চালচিত্রে ফিরে আসে কবে মৃত নক্ষত্রের মতো
যোনিঘ্রানে দগ্ধ হওয়া লুপ্ত কুরুবক

জনশূন্য সভাঘরে একা অতর্কিতে হেসেওঠে
অদৃষ্টের শাপগ্রস্থ শ্রান্ত বিদূষক।

ঘুম ঘর