বইগুলি ছেড়ে আমি...
একদিন থেমেযাবে ঘরে বাইরে সকল সাইরেন।
হাটখোলা দরজা দিয়ে অকস্মাৎ ঢুকে আর কেউ
প্রস্তাব দেবেনা যেতে – হাফ্লঙ্গে – কয়লা-রেলে চেপে...
মাঠের গহনে সেই পাঁচজন যুবক বৃক্ষের
দূত হয়ে আসবেনা তাতার বাতাস কিংবা সিদ্ধার্থ, জোনাক ...
তখন সদর দরজা আলতো ভেজিয়ে দিয়ে আমি
চলে আসবো অন্দরের ছায়াঢাকা ছটাক উঠানে –
আমাকে কেন্দ্র করে সূর্য্যদেব দিনগত প্রদক্ষিনে এলে
হয় আমি ছায়াদের সাথে কানামাছি খেলব অথবা
খুলে বসবো এতাবৎ পথে সংগৃহিত
গুপ্তধনের মতো বইপুঁথি গুলি ...
পরিচিত জাঁ ক্রিস্তফ্, আরণ্যক, গোরা আর ব্যোমকেশের ফাঁকে
অকস্মাৎ হানা দেবে শীতঘুমে ডুবে থাকালোভনীয় অজানা লেখক -
অন্য যুগের কবি - অদেখা দেশের কোন্ অচেনা ভাবনা -
আমাকে প্রদিক্ষিন করে সূর্য্য ক্রমে নেমেযাবে পাটে –
পিঠে তার স্পর্শটুকু নিয়ে বইগুলি ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা...