জনান্তিকে
আমাদের প্রত্যন্ত এ মফস্বল থেকে
ডাইনোসরের মতো লুপ্ত হয়েগেছে যতো কথা ও কাহিনী
তাদের অন্যতম বৃদ্ধ সেই নিরীহ পাগল
ঝোলাব্যাগ কাঁধে নিয়ে যিনি
যিশুর বাণী ও বার্তা
শোনাতেন পাঠকরে
ঘুরে ঘুরে শহরের বিষাদরাস্তায় আর
বেদনার অলীতেগলীতে –
শুধু এই পাঠকরা ছাড়া তাঁর আর অন্য কোনো লক্ষণীয় অসুখ ছিলনা।
আজ তাঁর ফসিলের পাশে মনে মনে নিঝুম দাঁড়িয়ে
অকস্মাত্ই আবিষ্কার
করি
আমাদের এ ছন্নছাড়া মফস্বলে তাঁকে
“যিশু ফাগ্লা” বলাহতো, আর
রবীন্দ্রনাথের সেই “রক্তকরবী”তে
আছে এক “বিশু পাগলা” যার
পথে পথে নিজমনে গানকরা ছাড়া অন্য কোনো লক্ষণীয় অসুখ ছিলনা ...