অশ্ব আর তাহার সহিস
১।
ঈশ্বর ও আমার মধ্যে সম্পর্কটি
প্রকৃতার্থে
অশ্ব আর তার সহিসের।
কখনো তিনিই অশ্ব, আমি তাঁকে দানাপানি দিয়ে
চাঙ্গা করে তুলে ফের
নিয়ে যাই প্রমোদ
ভ্রমণে –
এভাবে সপ্তাহ কাটে।
কেটে যায় অযুত বৎসর।
অতঃপর অশ্ব হয়ে আমি কিছু কাল
বসবাস করি তাঁর দৈব দেখভালে।
এভাবেই অলৌকিক ভ্রমণে, রমণে
সমকামী ঈশ্বর ও আমি
বেঁচে থাকি
সন্তদের চোখের আড়ালে।
২।
ঈশ্বর কখনো তার কাল ঘোড়াটিকে
বেঁধে রেখে চলে যায় – মধ্যরাতে – আমার বাগানে –
ঘুমঘোরে আমি সবই টেরপাই তবু
দড়ির খাটিয়া ছেড়ে একচুল নড়িনা চড়িনা।
মট্কা মেরে শুয়ে থাকি
ভোর এসে দরজাতে
ঠেলাঠেলি না করা অবধি।
ভোরবেলা থেকে আমি দানাপানি দিতে থাকি
ঈশ্বরের নিজস্ব ঘোড়াকে।
দিনভর নানাবিধ তোয়াজের পরে
দ্বারপ্রান্তে সূচীভেদ্য সন্ধ্যা নেমে এলে
আমি সে ঘোড়ায় চেপে
বারহই ঈশ্বরের উৎস সন্ধানে –
কেজানে কোথায় গিয়ে একলা ঈশ্বর
এতক্ষণে কি আবার কান্ড বাধিয়েছে ...
৩।
কখনো ঈশ্বর এসে ধার করে নিয়ে যায়
লক্ষকোটি তালিমারা
আমার জোব্বাটি।
দ্বাপর, ত্রেতা ও কলি
সব যুগে তার সব রমণ কাহিনী
ঘুণের অক্ষরে তাই
লিপিবদ্ধ হয়ে আছে
হিয়েরোগ্লিফিক্সহেন
আমার জোব্বাতে।
এদিকে বেচারা আমি
-জোব্বাহীন – শীতে গ্রীষ্মে একা –
কোনোমতে টিঁকে থাকি
সারারাত্রি দ্বারপ্রান্তে
স্বরচিত বর্ণমালা জ্বেলে...
দিনভর রোদে ভিজে, জলে পুড়ে এসে
একদিন চিঠি পাই – এখন ঈশ্বর
আমার পাস্পোর্ট নিয়ে
অবৈধ ভ্রমণে আছে
অধুনা বিদেশে।।
অধুনা বিদেশে।।