তুমি দেখে নিও
যে গল্পগুলি আর বলা’ই হলোনা
তারাও রইল।
রইল তোমার তত্ত্বাবধানে।
রইল ঘাসে ঘাসে
রইল মাঠে ময়দানে
রইল অতিবৃদ্ধ পিতামহসম সরল খাঁ সাহেবের
ফাটলধরা কবরের আনাচে কানাচে
রইল নদীর কোমরে ঝুঁকেপড়া
অর্জুনবৃক্ষটির পাতায় পাতায়
ডালে ডালে
শিকড়ে শিকড়ে
রইল রুমাদিদির ঘাম জব্জব্ দুধের ভাঁজে
রোদ্দুরে শুকোতে দেওয়া শায়ায়, শেমিজে
রইল মনীন্দ্র মহাজনের গণেশ উল্টানো
দোকানঘরের বেঞ্চিতে
রইল তোমার কিশোরীবেলার খোলা চুলে আর
প্রাপ্তবয়সের ছায়ায়, আঁচলে ...
তুমি দেখে নিও
রোদে ভিজতে ভিজতে
জলে পুড়তে পুড়তে
এরাও একদিন ঠিক বেড়ে উঠবে
পোড়োবাড়ির ভিটেতে অনাদরে বেড়ে ওঠা
লাউডগার মতন – সবুজ – সাবলীল –
আমার সাহায্য ছাড়াই ...
তখন, যদি পারো, কোনো এক সন্ধ্যাবেলা এসে
একটুখানি দাঁড়িয়ে যেয়ো এদের ছায়াতে।
তুমি দেখে নিও
এরা তোমাকে ঠিক চিনতে পারবে।।