আমেরিকার ডায়রী। ২০১৫।
পর্ব -৩
এ কোনো শহর নয়। এসএফও সমীপবর্তী
মফস্বল। অফিস অঞ্চল।
হাইওয়েতে ধাবমান গাড়িগুলি ছাড়া
টিম্টিমে নাই্ট ক্লাব এক
নিরীহ রাত্রির শেষ বিষাদসম্বল।
“পোল্” ধরে ঘুরে ঘুরে নেচে যায়
ম্যাক্সিকান ও নিগ্রো মেয়েগুলি।
বার্ ঘিরে গল্প করে
খালাসী ও আদার ব্যাপারী
অভ্যাসে উঠে গিয়ে টিপ্স্ দেয় –
দুই ডলার। বড়জোর পাঁচ।
যেহেতু আগুন নয়, তাই
কিনারে বসেও মর্মে
কোনোরূপ আঁচ
লাগেনা কারোরি।
ধীরে সুস্থে বসে থেকে
জনি ওয়াকার কালো
লার্জ শেষ করি।
এ দেশে যখনি আসি
প্রথমবারের কথা
মনে আসে – প্রতিবারই আসে –
মনেপড়ে কি নিবিড় মমতা ও আতিথেয়তায়
“এনআরআই” তামিল দম্পতী
হাত ধরে শিক্ষা দিয়েছিল
কাপড় কাচার যন্ত্র – কয়েন চালিত –
ট্রেনের টিকিট কাটা – কয়েন চালিত
ভিড় রাস্তা পার হয়ে যাওয়া
নিজহাতে লালবাতি জ্বেলে ...
ভুল হলে প্রশ্রয়ের হাসি
পতীপত্নী উভয়েরি ঠোঁটে খেলেগেছে ...
তামিল সে “এনআরআই” মহিলার ভাই
আমারি বয়সী নাকি, একা একা থাকে কোন্
ইংলন্ডের চাকরিশহরে ...
হয়তো আমার পাতে সম্বর আর ভাত দিতে দিতে
দূরের সে ভ্রাতাটিকে তার মনেপড়ে ...
আমার মর্মে সেই বিভূতিভূষণ
হানা দিয়ে যান তাঁর প্রিয় ঘোড়া চড়ে...