প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, December 19, 2015

“হারামির হাতবাক্স”

"হারামির হাতবাক্স




ঈশ্বরের হাতবাক্সে ঈশ্বরীর অন্তর্বাস খুঁজতে গিয়ে আমি
পেয়েছি ন্যাংটো ফোটো – ভাদ্র বৌ,দিদি,বৌদি আর 
মাসি-পিসীদেরও। ঈশ্বর কন্ডোমের সঙ্গে দেখেছি যত্ন করে
রেখেছেন শতনাম, হনু-চালিশাও। এবং কোরান আর
বাইবেলের ছেঁড়া পৃষ্ঠা -- স্যানিটারি ন্যাপকিনে মোড়া।
 সঙ্গে সঞ্চয়িতা, গীতাঞ্জলী —- সিন্দুর-রঞ্জিত।
কোকশাস্ত্র,কথামৃত পাশে এইমাত্র শুদ্ধ-প্রুফ 
— অমৃতের অগ্নি-কন্যা অমৃতার তরে 
বানী, মন্ত্র, প্রবচন -- শুদ্ধ শাকাহারী। শাক্ত পদাবলী নামে
পুঁথির প্রথম পাতে মেয়েলী অক্ষরেঃ
“গো তোমার ‘অবিহনে’ আমার সে 
চুসিপুসিগুলি...”, হা ঈশ্বর,  অতঃপর 
তোমার বাক্সে আমি খুঁজেছি আত্মকথা,আত্মগ্লানি,
কৌমুদী ও পাপ। এবং না পেয়ে 
প্রায়শ্চিত্ত অভিপ্রায়ে এই হাতবাক্স যেই
ছুঁড়ে ফেলে দিতে গেছি খিড়কি পুকুরে --
তখুনি বাক্স থেকে,কমনীয় আপেল ছাড়াই,
বেরিয়ে এসেছে দেবী,সর্বজয়া,তোমারই সুযোগ্য সাপ —-
আর তাকে দেখে,রীতিমতো ভড়কে গেলে আমি
কাঁধের কিনারে এনে ফণা 
সে বলেছে ‘হারামি...হারামি’।
হে ঈশ্বর, কে হারামি? তুমি? সে? না আমি?
টুঁ শব্দটি করো দাদা, প্লিজ, তুমি না মৌমাছি, মাছি 
শিয়াল, শকুন, কাক- সকলেরই একা অন্তর্যামী??? 
 


–---

ঘুম ঘর