মরুঝড় থেমেগেলে পরে
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
---------+-----
লক্ষ্য করি ধূলিকণাগুলি
মরুঝড়ে। থেমেগেলে
মাইক্রোস্কোপে দেখি
আকার, আকৃতি।
দেখে দেখে চাই বুঝে নিতে
দেখে দেখে চাই খুঁজে নিতে
ব্রহ্মান্ডের হেতু ও বিনাশ -
'ব্রহ্মান্ড' সেই 'ভান্ড' যে ঘুমিয়ে থাকে
নক্ষত্রের ছবি নিয়ে
স্থান, কাল, স্থিতি, গতি নিয়ে
আকাশের বিষনীল ফ্রেমে।
তাকে পাই ধূলিতেও -
মরুঝড় থেমেগেলে পরে।
#
ধূলির কণাতে
ব্রহ্মান্ডকে দেখে প্রথমতঃ
মর্মমূলে কেঁপে উঠি
শঙ্কায়, অর্বাচীন ভয়ে।
কেঁপে উঠি
টের পেয়ে তার
বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যাহীন
বিপুল বিস্তার
একটি জোনাকিহেন
তার মধ্যে জ্বলে নিভেযায়
ইতিহাস
মানবের, প্রাজ্ঞ সভ্যতার।
#
কেঁপে উঠি
কেননা আমার
মর্মগত নির্জনতা,
বিস্মৃতির নিবিড় বিস্তার
আমাকে জানায় আমি
এবং আমার
উপাস্য ঈশ্বরেরা
ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণহীন
মুহুর্মুহু জাত, মৃত
এ সকল ব্রহ্মান্ডের কাছে
কতো তুচ্ছ, কতো ক্ষুদ্রাকার।
#
মরুঝড় থেমেগেলে পরে
মাইক্রোস্কোপে ধূলির কণাতে
ব্রহ্মান্ডকে দেখে কেঁপে উঠি
কেননা মুহুর্মুহু
মৃত আর জাত
এ সকল ব্রহ্মান্ডের আকাশে কখনো
আমার যাপন, মৃত্যু,
জন্ম ,শোক অথবা অসুখ,
জ্ঞান, ধর্ম,
অধর্ম বা
নির্মীত পাপের সংজ্ঞা,
ধ্বংস ও প্রতিষ্ঠার রূপ
ফেলেনা কোনোও ছায়া
ফেলেনি কোনোও ছায়া
ফেলবেনা
কোনোদিন বলে
ভীত হই, শংকাগ্রস্থ হই
'বিরাট'কে মর্মে টেরপেলে।
#
ভীত হই
মর্মে টের পেয়ে
সেই সমাপতনের কথা
মুহুর্মুহু ঘটনা বা
দুর্ঘটনা হয়ে
অশরীর যে সাপ চলেছে
যা ঘটেছে, যা ঘটেনি,
যা যা ঘটতে পারে
সেইসব সম্ভাবনাগুলি
গর্ভে বীজের মতো বয়ে …
কোথায় চলেছে কিংবা
কেন যে চলেছে
সে সকল প্রজ্ঞা, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ গুলি
মুহুর্মুহু জাত, মৃত
দৈবের নিয়ন্ত্রনহীন
অদেখা, অজানা কোনো
মরু ধূলিঝড়ে।
তার থেকে একটি ধূলির কণা নিয়ে
কখনো কি কোনোও অজানা
বিশ্লেষণে বসে তার
সংজ্ঞার অতীত কোনো
মাইক্রোস্কোপ নিয়ে?
[ উৎসর্গঃ Sir James H. Jeans ]