তথাপি দৃশ্যাবলী
হেমন্তের ঝরাপাতা কুড়াতে চলেছি
ঝর্নাদেরর উৎসগুলি থেকে।
যতো দূরে যাই তবু মৃত্যু থেকে দূরে যাওয়া
যাবেনা, তথাপি
কেন যেন মনে হয় ফের অভিনীত হবে সব লুপ্ত
দৃশ্যাবলী
কোনোদিন, কোনোখানে… কোথায় কেজানে।
গ্রামে ফের মেলা হবে, বেলুনঅলা বুড়ো আসবে
‘জাটিঙ্গার ময়না পাখি’ নিয়ে। ইস্কুল পালানো
প্রহরে
কোনো জন্মদিনে পাওয়া ‘পাচটেকি নোট’ নিয়ে
আমি
বন্ধুদের সাথে যাবো নাগরদোলায় চেপে
আকাশের সীমা দেখে নিতে। আকাশের পরপার
থেকে
ঘাসের উষ্ণীষ পরে জন্মদিন গুলি পায়ে পায়ে
হেঁটে এসে
মিশে যাবে সরল খাঁ’র মাজার আর দিঘি পার
হয়ে।
আমাদের আড্ডা ভাঙ্গবে মা’র হাঁকেডাকে
যথারীতি ঘড়ি-ঘোড়া রাত্রির নাভি ছুঁয়ে
দিলে …
তারপর আরো কটি স্টেশন পেরিয়ে একদিন ভোরবেলা
চুপে
শীতের শিশির ভিজবে ‘দীপ নিভে গেছে ’ গানে
কোনো এক চেনা কিশোরীর। গানটির হাত ধরে
আমি
রাত্রির ট্রেনে চেপে পাড়ি দেবো শ্রাবস্তী
বা দারুচিনি দ্বীপের সন্ধানে…
তথাপি মৃত্যু থেকে দূরে যাওয়া যাবেনা
কদাপি ।
তথাপি দৃশ্যাবলী অভিনীত হবে পুনরায় …
২৮/১০/২০২০