প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Friday, March 25, 2022

পালা

পালা

 


 “ব্রাহ্মণ দের বাসার, দোকানের, হাগাখানার ……কুড়ি হাজার মাইলের মধ্যে

কোনো দলিতের,শূদ্রের দোকান,বসতি থাকা চলবে না।

এদের ছায়াও যেন বর্নহিন্দু পাড়ায় না পড়ে’।

ওরা প্রথমে এমনটা বল্লে আমি সপরিবার

বগল বাজিয়েছিলাম উল্লাসে কেননা

আমি দলিত বা শূদ্র নই

অতএব আমি সিকিওরড।

 

 

অতঃপর ওদের বারতা এলোঃ  

‘ হিন্দু দেবালয়ের দশ হাজার মাইলের মধ্যে মুসলমানের দোকান চলবে না’।

কেননা আমি তো মুসলমান নই,

আমি মুসলমান নই তাই বলে দ্বিগুণ উল্লাসে

বগল বাজালাম, হাততালি দিলাম, মর্মে

ধর্মভাব জাগলে চিল্লিয়ে বললাম "জয় রাম, জয় শ্রীরাম"।

আমি সিকিওরড।

 

 

এবার যখন ওরা এলো, ওদের দেখামাত্র 

আমি  বেশ খানিকটা নেচে-কুঁদে নিলাম। লাল কার্পেট নিয়ে

ওঁদের বরণ করতে যাওয়ার মুখেই শুনলাম

এইবার ওরা বলছে

“ তফাৎ যাও।“

বলছে “ জ্বালিয়ে দাও সব ঘর, সমস্ত দোকান। এখানে এখন থেকে

প্রভুদের ভকতেরা ছাড়া হিন্দু, মুসলমান,শিখ, কেরেস্তান, যেই হোক,

কেউ থাকবেনা। থাকলে থাকবে

প্রভুদের দাস হয়ে, নাকখৎ দিয়ে আর

বিনামূল্যে

প্রভুদের শ্রম কিংবা রসদ জুগিয়ে।“

 

হায়, যদিও তিলক কেটে আমি ভকত সেজেছি

তবু দেখি এদের খাতাতে আমার নামের কোনো অক্ষরই নেই।

অতএব এইবার আমারো উৎখাত হওয়ার পালা।

এইবার কাকে ডাকি? বলি ‘পাশে থাকো’

শূদ্র, দলিত, চাষা, মুসলমান, মজুর, কৃষ্টান

তারাতো আমারই সামনে

উৎখাত হয়েগেছে কবে

এবং

সেসব পর্বে আমিতো তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে একা

আমি সিকিওরড জেনে

উদ্দাম নেচেছি আর বাজিয়েছি

কামানো বগল।


ঘুম ঘর