আ’মরি বাংলাভাষা
আ’মরি বাংলা
ভাষা! প্রত্যাশা
রেখোনা কিছু।
আমিও
রাখিনা।
যদিও সদিচ্ছা ছিল –
-ইচ্ছাদের
সত্যাসত্য তুমি জানো কিনা আমার অজানা-
অনেক গুহার
গর্ভে, পাথুরে দেওয়ালে,
সমুদ্র ও
নদীতীরে বিশাল শিলাতে, গেঁয়ো মেয়েদের বুকে,
শিক্ষিতা
যুবতীদের নাভি ও কোমরে,
এইচআইভিপীড়িত
মর্মে, দুঃসাহসী পুরুষের ঘাড়ে
তোমার অক্ষর,
বাক্য, শব্দ, যতি, বিশেষন,
বিশেষ্য,
ক্রিয়াপদ্গুলি
লিখে যাবো
মায়ায় প্রত্যয়ে।
অবলুপ্ত
শব্দগুলি তুলে আনবো
কখনো ডুবুরী
হয়ে কখনো নুলিয়া।
ঘষে মেজে
তোলামাত্র
প্রতিটি
শব্দের থেকে
আজ্ঞাবাহী
জাদু দানবেরা
মেতে উঠবে
ভাষার নতুন
দুর্গ,নতুন পরিখা
নির্মানের
কাজে। নতুন বসন্ত শীত,
গ্রীষ্ম
লেখা হবে । লেখা হবে নতুন শ্রাবন। আ’মরি বাংলাভাষা
অধমের সদিচ্ছা
ছিল
তুমিই জীবন
হবে, তুমিই যাপন।
যদি তারে নাই চিনি……
ছেলের অসুখ
ছিল,তাই
দুই দিন
কাজে আসতে
পারেনি মহিলা।
আজ এসেছে। উদ্বিগ্ন, মলিন
মুখ দেখে
জানতে চাই
ছেলেটি কেমন
আছে আজ। তার ভাষা
আমার অজানা।
এবং আমার ভাষা
জানা নেই
তারো। তবু তার মমতার
যতিতে, অক্ষরে
আঁকা হয়ে ওঠে ছবি
একাঘরে রুগ্ন
বালকের।
তার ঘরে
জানালা আছে কি? জানালার থেকে
দেখা যায়
ইমারৎ,আকাশ,টাওয়ার?
আধখোলা দরজা
দিয়ে ঘরে
রাগী রোদ,
দাগী নিদাঘের,
ঢুকে পড়ে?
ওড়ে চিল
ঘুড়ে ঘুড়ে
নীলমোছা
রুক্ষ দুপুরে?
দরজায় ছায়া
পড়লেই
পাশ ফেরে
মা ফিরেছে
ভেবে?
নিজের বালকবেলা,
রুগ্ন, একলা, আজ
বসে আছে
কোথা, কোন জানালার ধারে……
নগরের পথে
তাকে কোনোদিন দেখি যদি, তবে
চিনে নিতে
পারবো কি
অমল বা অপু
বলে
শুধুমাত্র
দৃষ্টিসূতো ধরে?
পূজারিণী
"হিজাব, হিসাব রেখো, নিষিদ্ধ ঘোষিত
করা হলো
ইস্কুলে, কলেজে আপাততঃ। সময় সুযোগ বুঝে
পরে
কলজেও নিংড়ে নেব বিধর্মী ও দেশদ্রোহী
তকমা লাগিয়ে" জল্লাদ জানান দিলো
এনালগ ও
ডিজিটেলে দিবালোকে,
শহরে বাজারে।
তৎক্ষনাৎ হিজাব বালিকা ধরে ধরে
ধর্ষণের ধর্ম-ধান্দাতে লেগে গেলো ভক্ত-গোপুত্রেরা। অথচ সেদিনই, দেখো,
তিনজন নিতান্ত বালিকা একজন হিজাব-সাথী
কে
নিয়ে যায় ইস্কুলের পথে, হেঁটে যায় হাতে
হাতে ব্যারিকেড করে।
ছবিখানি
দেখে জানিনা দুচোখে
কেন জল
, কেন গ্লানি, কেন উদ্দীপনা…
হে জল্লাদ, তোমাদের রণ, রক্ত ,সফলতা সত্য
–
তবু শেষ সত্য নয়। আরেকবার প্রমানিত হয়
যে রকম শ্রীমতী নামের নটিনী জল্লাদের মুখে
তুড়ি মেরে
প্রদীপ জ্বালিয়েছিল যখন অজাতশত্রু, পিতৃহন্তা,
ডেকে নিয়ে
এসেছিল এরকমই এক দুঃসময়।