ধৃতরাষ্ট্র
কখনো শৈশব ছিল যখন মধ্যরাত্রে আহ্নিক গতির শব্দ অস্পষ্ট শোনা যেতো
মাথা রাখলে তুলোর বালিশে। এখন পৃথিবীর সব
হলাহল, কোলাহল ছিঁড়ে
স্পষ্ট শোনা যায় ধ্বনি
প্রতি বৃক্ষ, প্রতিটি গুল্মের থেকে ঝরে যাওয়া
মাটি,জল আর
খনিজের।
এই অসময়ে, বলো, সন্ততির মর্ম আমি
কিভাবে আড়াল করবো? গড়বো কিসের দুর্গ
কোন জাদুবলে?
এই নিঃস্ব সময়ে বলো
সন্ততির মর্ম থেকে আমি
কিভাবে আড়ালে রাখবো
রক্তছিঁটা, এই জলোচ্ছ্বাস ? শুদ্ধোধন চেষ্টা নিয়েছিল,
তুলেছিল প্রাচীর,পরিখা।
কিনে এনে দিয়েছিল যুবতীর নাভি। তথাপিও
প্রাচীর বিচূর্ণ হয়ে
সিদ্ধার্থর পায়ে পায়ে হয়ে গেলো পথ, ছায়াপথ।
আমি তাই দেওয়াল তুলিনি।
তুলবো না। যদি ভেসে যেতে হয় সন্ততির পাশাপাশি
রক্তছিঁটা খালে, জলোচ্ছ্বাসে তা'ই যাবো। কেননা শিকড়ে,
শাখায়, পত্রে এই দাহ, আমিও হে, পারিনা সহিতে।