অক্ষরের যক্ষদের কথা (অংশ)
লেখার কতো কি আজো ছুঁতেও পারিনি।
লেখায় কতো কি আজো ছুঁতেও পারিনি।
এই যে ঘুমন্ত গলী আর তার লাইটপোস্ট, নিওন বা হেলোজেন বাতি
বাতি ঘিরে পোকা গুলি, আহা, তারা উড়ুক, দেখুক
থাকুক এই বাতি ঘিরে, ছায়া ঘিরে সঙ্গী ছাড়া বেচারা গাছের।
হঠাৎই চাঁদের খোঁজে ধাবমান দুঃসাহসী কুকুর বাহিনী
আমার জানালা, পর্দা, পর্দার ভাঁজে
ছায়া, আলো, ফুরোনো রিফিলগুলি, হারানো কলম,
ছাইদানি, মাথার উপরে পাখা, দামামার ধ্বনি ওঠে তাতে
খুলে রাখা চটিজোড়া, কারখানার ছাতে
দোল খাওয়া সায়া, লুঙ্গি, শাদা ব্রেসিয়ার
ঘুমন্ত পাহারাদার এই
হাওয়া মহলের, তার লাঠি কাঁত করে রাখা, হাওয়ার দাপটে
উড়ন্ত প্লাস্টিক ব্যাগ, ডাইনীর আঙ্গুলের মতো
রাধাচূড়া-কৃষ্ণচূড়া ডাল, ছাত থেকে ছাতে যাওয়া
বেওয়ারিশ তিনটি বিড়াল -- এদের কাউকে আমি
ছুঁতেও পারিনি আজো অথচ সম্ভবতঃ কোটি কোটি লাইন
লিখেছি অদ্যাবধি আর শুধু এই জানালাটি আর
জানালার থেকে দেখা -- এতেই এতোটা যদি হয় তাহলে রাস্তায় নামলে
আরো কতো, কতো কতো ছুঁতে না পারার মতো ছবি আছে, অভিজ্ঞান
আছে হয়তো জীবনে আমি জানবোনা কাউকে তাদের অথচ সম্ভবতঃ
কোটি কোটি লাইন আমি লিখেছি অদ্যাবধি আর সারারাত ধরে
এভাবেই লিখে যেতে পারি সচেতন কোনো ইচ্ছা ছাড়া
কাগজ পেলেই সামনে এবং কলম, অকাব্য কি কাব্য জানিনা। অন্ততঃ অর্থপূর্ণ
আর কিছু বাক্য অবশ্যই, বিনয় মজুমদারমতে 'রসাত্মক'
মিশে থাকে তাতে। অথচ লেখার কতো কি আমি ...
লেখায় কতো কি আমি ...
প্রবেশিকা
**************************
[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
************************** [ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]