নীলকুঠি বারান্দার রাত
ঝড় বাদলের রাতে বজ্র ঈশারাতে
তোমায় পেলাম নীল কুঠির বারান্দাতে।
সামনে নাবাল মাঠে নীল ফসলের সাথে
জখম, জুলুম, খুন রাত্রে দিনে কতো
হয়েছে তার হিসাব জানেনা তো
কুঠির দেওয়াল থাম ও খিলান যতো।
তবুও তারা বলে রাত্রি নিঝুম হলে
ফিসফিসিয়ে কুঠির ইতিহাস।
কোন্ খানে কার লাশ রয়েছে পোঁতা
দাগ ঢেকেছে গুল্ম, লতা, ঘাস।
ঝড় বাদলের রাতে বজ্র ঈশারাতে
তোমায় পেলাম ওই কুঠির বারান্দাতে।
তুমি আমায় বলোনি 'কেন এলে?'
বলিনি 'ফুল তোমার উপবনে
তুলিতে চাই পূজার কিংবা
অন্য কোনো ছলে।'
বজ্রে পোড়া বৃক্ষ বলেছিল
'এখন চুপ এসব কথা যাক
কথাচ্ছলে পেরিয়ে সব বাঁক'।
বজ্রপাতের স্বরে দেহে কাঁপন ধরে
বাঁশের পাতার মতো।
বল্লে 'উতল ধারা বাদল থামেনি তো।
সামনে নাবাল মানুষ-পোঁতা মাঠ'।
বল্লে, বলেই কিসের ভয়ে কাঠ।
কাঠ মানে গাছ বজ্রপাতের পরে
এইবারে নীল কুঠিই গেলো পুড়ে।
নাবাল জমি এবং আমি একা
নীরব কুহু বাক্যহারা কেকা।
সেই থেকে সব ঝড়বাদলের রাতে
নাবাল নীল-মাঠে তোমার-আমার দেখা।
মাঠের জল সাঁতরে চলে সাপ
জলের গায়ে কেটে জলের রেখা।।