প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Monday, October 16, 2023

প্যালেস্টাইনের সংগ্রামী জনতাকে


গাজা



ভেঙ্গেছে দেওয়াল।

কবে ভেঙ্গে যাবে দরজা?

ফিরে পাবে সবে

খোয়া গিয়েছিল যার যা?

#

এমনি এমনি কোনোই দেওয়াল

কখনো পারেনা ভাঙ্গতে।

একজোট হয়ে একে ও অনেকে

হয় বোমা ছুঁড়ে মারতে।

#

বোমা ছুঁড়তেই হয়েছে, কেননা

দেওয়াল তুলেছো তোমরা।

ভেবেছো ডলারে কেনা সম্ভব

সকলেরই প্রাণ-ভোমরা।

#

'কারাগার' শুধু 

নয় জেল-কোঠা। কারাগার 

গোটা বিশ্ব। এবং কুবের সম্রাট

তাই, বাদ বাকী সব নিঃস্ব।

#

নির্ণীত হয়ে গিয়েছে কবেই

কে কার শত্রু, মিত্র —-

প্রাণের সিংহ নিনাদে ভাঙবো

দেওয়ালের মানচিত্র।

 

–---

সপ্তর্ষি বিশ্বাস 

০৮/১০/২০২৩






কলা


"সমুদ্র-ঢেইএর মতো তোমার স্তনের ভাঁজে আমি

জ্বলে উঠি, শাদা-ফসফরাস"।

#

পংক্তি দুটি আজই লিখলাম আর 

তখনই প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলি বোমা

টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে

সদ্যোজাত শিশু থেকে 

বাহাত্তুরে বুড়ো হাবড়াদের। তবু কি আশ্চর্য,দেখো,

আমার প্রতিভাবলে 

বারুদ, মানুষ-ভস্ম, তাদের চীৎকার –---

দাগও পারেনি ফেলতে

আমার পংক্তি গুলি আর

পীনোন্নত তোমার 

স্তনেও।

#

"হৃদয়ের ছমছমে পথে নৈঃশব্দ্য বয়ে নিয়ে যায়

স্মৃতির সারস" ।

#

এ পংক্তি যখন লিখি, তখনো রাস্তাঘাটে,

এ গ্রহেরই মনিপুর দেশে, সরকারী সিদ্ধান্ত মতে

কুকিদের খুন হচ্ছে স্পষ্ট দিবালোকে। কুকি মহিলাকে

সম্পূর্ণ নগ্ন করে ধর্ষণের দিকে

নিয়ে যাচ্ছে মাতাল জনতা। তথাপি আমার পংক্তি

কি নিটোল, রক্ত-ছিঁটা হীন।

#

আর ইউক্রেনে 

যখন যুদ্ধ বাধলো, তখন  লিখেছিঃ

"শিল্পীত মননের খাঁজে, ভাঁজে ভাঁজে, বেদনার আসক্ত আঙ্গুর

ফুটিয়াছে তোমার নাভিতে, হে দেবী, স্বৈরিণী তুমি,

আমি ছাড়া কে তোমাকে জানে ওতোপ্রোতো? "

লক্ষ্য করো, এখানেও যুদ্ধুটুদ্ধু, বোমাটোমা, রাজনীতিফিতি

পারেনি দখল নিতে –---

একমাত্র কবিত্বের প্রতিভা বশত।

#

অতএব, ওই সব ছাড়ো। কবি, তুমি, ঈশ্বরের বীনা।

তুমি লেখো। লিখে যাও। মহাকাল 

পড়বে একা একা । এসব যুদ্ধ, রেপ, 

মণিপুর, প্যালেস্টাইন  নিয়ে

মাথা খুঁড়ে মরুক অন্যরা।

–-----


সপ্তর্ষি বিশ্বাস 

১৪ অক্টোবর,  ২০২৩

বেঙ্গালোর









চোখঃপ্যালেস্টাইনের সংগ্রামী জনতাকে

–------------------------------------------

উপড়ে নিতে হবে চোখই, চোখের বদলে।

কে বলেছে এ গ্রহ তাহলে

অন্ধ হয়ে যাবে?  যারা চোখ উপড়ে-নেওয়া খেলা

আরম্ভ করেছে , এ নিয়ম তাদেরই বানানো, তারা জানে

তারা যে সংখ্যায় কম। আমি, তুমি যদি চাই

তাহলে তাদের চোখগুলি

অবলীল উপড়ে নিতে পারি

আমাদের চোখে তারা 

তাকানোর বদ-সাহস 

করার আগেই। 

#

উপড়ে নিতে হবে চোখই, চোখের বদলে।

এ গ্রহ অন্ধ হ'লে হোক। আমাদের গাথা তবু

লিখে রাখবে

অন্ধ হোমার।

–----------

সপ্তর্ষি বিশ্বাস 

১৬/অক্টোবর / ২০২৩

বেঙ্গালোর



ঘুম ঘর