জয় গাঁ
এসেছিলাম, দেখে গেলাম, রেখে গেলাম
কয়েক টুকরো আমি
এই অরণ্যে, পাহাড়-পথে
ভূটান-বিদেশ গামী
মেঘের শিশু, মেঘ-পরিবার, দোকান –--- রাজু তামাং,
হোটেল-বুড়া, তার উপরোধ “ আরেক হাতা ভাত
নাও গো খুকি, তুমি তো মা
কিচ্ছু খেলে না”, —- ছন্দ যদি ভাঙ্গে, ভাঙ্গুক –---
পরোয়া করি না, লিখতে হবে তাঁর কথাও, সেই যে মহিলা
মফস্বলি ডাকঘর এক
আগলে ছিলেন একা, এখন বুড়ি, তাঁর সাথেও
এই পাহাড়ে দেখা
হওয়ার ছিল? গণৎকারও জানেনা কোন রেখায়
পথের বাঁকে কখন চিতা, হরিণ দেখা যায়।
দেখে গেলাম ফুলশিশুটি
আনন্দ ঘাস-ফুল। রেখে এলাম আমার টুকরো
একটি তারো ঘ্রাণে –
হয়তো আবার অন্য কোনো আশ্বিনে,অঘ্রাণে
এই শিশুটিই পক্ষীমাতা, আগলে রাখে ছা –
যে আমি-টি অরণ্যে যায়
সে আর ফেরে না। যে ফেরে সে অন্য মানুষ
আধেক চিনি না।
এসেছিলাম, দেখে গেলাম, রেখে গেলাম লিখে
তথাগত’র বার্তা-হেন
নিশান গেলাম রেখেঃ
“হে অরণ্যে, ঝর্না,পাহাড়
আগলে রেখো তাকে –
গুম্ফাতে নয়, ঘর-দরজায়
যে সন্তটি থাকে।”
৩০/০৪/২০২৫