“রোগশয্যায়”
১।
সে এখন
যেখানে শুয়ে আছে সেখান থেকে বাইরে তাকালে দেখা যায় চওড়া গলী। গলীর একপাশে গুদাম। পাহারাদারের
আস্তানা। পারহয়ে ছোটো ছোটো একতলা বাড়ি। অটোরিক্সা। এন্টিনার ডিস্ আর সদর সড়ক।
গলীর অন্যপারে আপ্পালিঙ্গমের কারখানা, গুছানো অফিস। নির্ণীয়মান বহুতল। দোকানঘর। চক্রবালে
উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটের ইঙ্গিত। সেল্ ফোনের টাওয়ার। গলীর শেষে ‘ফরেন লিকার’।
তার যেখানে
শুয়ে থাকার কথা ছিল সেখান থেকে বাইরে তাকালে ঘোড়ানিম আর আঁশ্শেওড়ার ফাঁকে নদীর
চিহ্ন। কলাগাছশিশুদের মাথার আড়ালে টুকরো টুকরো নীল। বাঁশঝাড়ে হাওয়ার তান্ডব।
হাঁসেদের হৈ-হল্লা। সকাল থেকে দুপুর। দুপুর থেকে চুঁইয়েপরা বিকাল। সামনের রাস্তা
দিয়ে ঘরমুখো হাটের মানুষ –
আরো কিছু
রাত্রিদিন, দুপুর আর সন্ধ্যা পেরিয়ে যখন তার অবসর অপার হবে, যখন তার শুয়ে থাকা
ছাড়া আর অন্য কোনো ভঙ্গির কাছে কোনো দায় নেই, তখন, সে ভাবে, ঐ তার শয্যাটিকে ঘিরে থাকবে
কি ঘোড়ানিম, নদীর ইঙ্গিত কিংবা ‘অবিরল সুপুরীর সাড়ি’?
ভাবতে
পারেনা আর। পুনরায় তার চোখে তন্দ্রা নেমে আসে।