বলে গেলো রাতজাগা পাখি ...
জীবনের
হেমন্তের দিকে
হেঁটে চলে
যেতে যেতে ভাবি
বার্ষিক
গতির নিয়মে
জীবনেরো
ঋতুগুলি ফের
কোনোভাবে
ছোঁয়া যাবে না’কি?
‘সেখানে
কুয়াশা আর মেঘে
ছবিগুলি
ঢেকে গেছে কবে ...
এখন সেখানে
ওড়ে ছাই –
নদী আছে,
ফেরীঘাট নাই’
বলে গেলো
রাতজাগা পাখি ...
২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
ভাষার শরীর
থেকে খুন
ঝরেছিল,
আবারো ঝরুক্ -
ধূলি ঢাকা
জননীর মুখ
পুনরায়
দেখুক ফাগুন।
আগুনের
নিজের আখরে
ভাত রাঁধি
ছোটো কুঁড়ে ঘরে
জ্বলে ওঠে
বর্ণমালা, আলো
অন্ধকার
আকাশে ছড়ালো
হারানো সে
ভ্রাতাদের নাম –
ফিরে করি
তোদের প্রণাম।।
চরৈবেতি
চরে বেড়ানোর
মানে
আশা সুখ দুখ
জানে
শুধু সেই জন
যেজন বেড়ায়
সত্যের সন্ধানে।
চরে বেড়ানোর
ভয়ে
ঘরে বসে ক্ষয়ে
ক্ষয়ে
কিভাবে বুঝবো
তাকে
দেবতার নিজ ডাকে
যেজন ছেড়েছে
ঘর?
মশালটি নিয়ে
হাতে
তুমুল ঝড়ের রাতে
তার সে পথের
কাছে
ভৃত্যের মতো
আছে
প্রকৃত ঈশ্বর।।