‘পিঞ্জরে বসিয়া শুক’
খাঁচার পাখিটি নাকি পাখিটির খাঁচা
এই শেষ কুয়াশায় এসে
লুপ্ত পাপ, ধর্মবোধ, সমূহ কবচ –
লখাই’এর খাঁচা দেখে শহরের বাবু স্তব্ধ, মুগ্ধ বিবিরা,
লখাই’র পুলক তবু পাখিটির ক্ষতকে খুঁচিয়ে ...
অথচ বনের পাখি ডাক দেয় যদি
খাঁচার পাখিটি বুঝি সততই ভীত?
সততই শক্তি তার ‘নাই উড়িবার’?
বনের পাখিটি, হায়, ভয় করে খাঁচা –
সে জেনেছে মহানীল, মানচিত্র ছিঁড়েফেলা একা
পারাপার ...
কেবল আড়ালপুরে
কে আজো দিবসে রাতে ভেবে মরে নীরবে একাকী
কে আজো দিবসে রাতে ভেবে মরে নীরবে একাকী
‘পাখি যদি উড়ে যায় তবে
শূন্য এই খাঁচাখানি কার? ...’
[ কমলকুমার মজুমদার স্মরণে]