নব্বই মিনিট ধরে ...
বিরাট
মাঠটির এক প্রান্ত থেকে বল নিয়ে বেরিয়ে পরেছ তুমি,
তিনটি পাহাড়
ও দুই জন ব্যাকিকে কাটিয়ে একটু এগিয়ে যেতেই
অন্য দলের
সেন্টার এগিয়ে এলো বলটি ছিনিয়ে নেবে বলে –
তখন তোমার
সামনে একটি নদী, সাঁকোহীন, পারাপারহীন –
অমনি তুমি
বলটিকে পাশ্ করে দিলে দলের আরেকজনের পা’য় ...
সে’ও ছুটতে
ছুটতে পার হয়ে গেলো বড় রাস্তা, মরুভূমি, উরুসন্ধি, জংঘা ও কোমর –
এরই মধ্যে
কর্ণার, ফ্রী কিক্, অফ্সাইড, থ্রো আর ফাউলের আড়ালে
ঠিকানা বদল
হলো অসংখ্যবার, হার্ট এটাক্, হাসপাতাল, দাঙ্গা,ডিভোর্স আর
পুনর্মিলন ও
হলো কয়েকটি ...
কিন্তু এই
যে ছুটে চলা –এই যে পাহাড়, নদী,মাঠ, উরুসন্ধি, জংঘা ও সীমান্ত পেরিয়ে –
এসব কিসের
জন্য?
শুধুমাত্র
একটি গোল করার জন্যে এতো আয়োজন, এতো দৌড়, এতো রক্তচাপ,
বড় রাস্তা,
মরুভূমি, উরুসন্ধি, জংঘা ও কোমর?
এ সমস্তই
একটি গোলের জন্য –
একটি গোলের
জন্য এই খেলা, নব্বই মিনিট ...
ঠিক যেমন এই
যে পংক্তির পরে পংক্তি লিখে যাওয়া,
এই যে কাঁটা
ছেঁড়া, মাইলের পরে মাইল
অক্ষর আর
ছন্দের সন্ধানে, এই যে রাত নেই দিন নেই পথ চাওয়া
জানালায়,
ইষ্টিশানে, বাসস্টপে অথবা নির্জনে
সে’ও বা
কিসের জন্যে? একটিই কবিতা-শরীর লিখে তোলা তাজা রক্ত দিয়ে
শুধু তারি
জন্য এই একটি জন্ম ছুটে চলা –নব্বই মিনিট ধরে –একটি জীবন –
যে জীবন
অবশেষে পুড়ে ছাই ইলেকট্রিক চুল্লী কিংবা গাঁয়ের শ্মশানে ...
আড়ালে কেবল
জাগে একটি অমল আশা
যদি এই
পংক্তিগুলি বেঁচেথাকে আরো কিছুকাল ...
যদি এই গোলটি
আবারো আলোচিত
‘আজি হতে শত
বর্ষ পরে ...’