প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Friday, March 8, 2013

অনেক রাতের কবিতা





অনেক রাতের কবিতা

অনেক রাত। চরাচর ঘুমে। আকাশে চাঁদ।
তারার চিহ্ন। নগরের মাঝামাঝি ফ্ল্যাট। ব্যালকনী থেকে বহুদূর দেখাযায়। যদিও নগরী হাড্ডাহাড্ডি, খুনোখুনি তবু 
এরকম রাতে মনেহয়কোথাও শান্তি আছে।
একদিন ভেসে যাওয়া মেঘের পর্দা ছিঁড়ে নেমে এসে কেউ 
পৃথিবীকে বলে যাবে আজো তার থাকার সংবাদ।
এরকম ধ্যানঘোরে কবিতার জন্ম হয়। মনেহয় যেন
সবারি দাওয়ায়, ঘরে, ফুটপাতে, চিলতে উঠোনে 
নবান্নের গান হবে ভোরে।
এরকম মধ্যরাতে বিশ্বাসে বিশ্বস্ত হতে সাধ যায়। তবু
সেই একই প্রশ্ন আসে ঘুরে ফিরে ভিখারীর মতো –

নচিকেতা, যমের উত্তরে তুমি সন্তুষ্ট হয়েছিলে না’কি?

 **


পিঁপড়ে সেনা

‘কোথায় আলো’?
কেউ জানেনা,
বালির দুর্গে পিঁপড়ে সেনা
করছে জড়ো
আলোর কুচি –
অন্ধকারে
পাতাল পথে
আলোর পথিক যাচ্ছে দ্রুত –
মশাল ছাড়াই
চলছে সবাই
যে যার আলো সঙ্গে নিয়ে ...

‘কোথায় আলো’?
কেউ জানেনা,
বালির দুর্গে করছে জড়ো
আলোর ফেনা –
পিঁপড়ে সেনা।

 **




তোমার যাত্রার পথ
জলেরো পূর্বে জাত অশ্বারোহী তুমি
ছুটে গেলে অন্ধকারে, চক্রবাল ছিঁড়ে –
পথিক জ্বাল্‌লো বাতি, শিকারী মশাল,
বৃদ্ধা দাওয়াতে এলো কূপী হাতে নিয়ে –
অবিশ্বাসী ঊর্ণাজাল বুনে গেলো, আর
বিশ্বাসী প্রণাম করলো নতজানু হয়ে।
রাত্রির সূচীভেদ্য একই অন্ধকার
আলো হলো নিজ নিজ বাতির বলয়ে ...

তোমার যাত্রার পথ এভাবেই উদ্ভাসিত
নানাবিধ এইসব বর্তিকাকে ছুঁয়ে।।

ঘুম ঘর