রেললাইন
চেতনার
স্পর্শাতীত চক্রবাল ছুঁয়ে
যমজ
ভ্রাতার মতো পাশাপাশি হেঁটেযায়
এক
রেললাইন।
গন্তব্য
ও সূচনারহিত তার পথের দুধারে
থাকে
নদী, মাঠ থাকে, জনপদ ও মহামারী থাকে।
থাকে
ব্রীজ, আত্মহত্যা, ভূমিকম্প, অন্ধ টানেল...
অনন্তর
জনশূন্য ইস্টিশানগুলি
মায়ামারীচের
মতো ডেকে বলে “এসো –
নেমে
এসো –
এইদেখো
বৃষ্টিভেজা পথে ছায়া ফেলে
চলেগেছে
অশ্ব,গজ, রথচক্র আর
এ
পথেই সেই রাজবাড়ি – যে রাজার মেয়ে
স্বয়ংবরসভা
ছেড়ে খিড়কিপুকুরধারে
মালাহাতে
একা আছে –
-আজো
– দিনশেষে –
বিগত
জন্মের এই পরিচিত পরিধি পেরিয়ে
কেন
তুমি চলে যাবে
-একা
– ভিন্দেশে? “
চেতনার
স্পর্শাতীত চক্রবাল ছুঁয়ে
যমজ
ভ্রাতার মতো পাশাপাশি হেঁটেযাওয়া রেললাইন ধরে
চুপে
হেঁটে যেতে টের পাই
সব
দেশই ভিন্দেশ।
সব
পথই অন্তরালে গৃহপথ। নদী।
তাই
বুঝি মধ্যপথে থামা নেই আর –
তাই
যাত্রা প্রকৃতার্থে অগস্ত্যের আঙ্গিনা অবধি ...