প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Thursday, October 1, 2015

নলিনাক্ষ ফিরে গেলে...






নলিনাক্ষ ফিরে গেলে...

নলিনাক্ষ ফিরে গেলে প্রেম, প্রীতি সকলি ফুরাবে-
সে কথা তো জানো তুমি, তবু
কেন মুহুর্মুহু বলোঃ ‘নলিনাক্ষ চলে যাক্‌,
চলে যাক্‌ আমাদের এ ঘরবাড়ি ছেড়ে’...?

নলিনাক্ষ ঘরবাড়ি নিয়ে, তুমি জানো,
কোনোদিনই ভাবিত ছিলনা।
অথচ এ ঘরবাড়ি, প্রেম প্রীতি, মায়ার সংসার
নলিনাক্ষ ব্যতিরেকে নির্মীত যদিবা হতো
এইরূপ নিবিড় হতোনা...।


নলিনাক্ষ ছিল বলে মেঘে ঢাকা শীতসকালেও
কনেদেখা আলো জ্বলেছিল।
নলিনাক্ষ ছিল বলে
স্পর্ধা ছিল, দুঃসাহস ছিল –
সেই দিন, সেই রাত্রে
তোমার চুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ চিতার মতো তোমার শিয়রে
আমি নই, নলিনাক্ষ সারারাত একা জেগে ছিল ...






নলিনাক্ষ বল্গাহীন।
সবসময় বিশ্বাসের বাঁধনও মানেনা।
মানেনা মায়ার জীন্‌।
মাঝে মাঝে ইচ্ছাকৃত পরোয়া করেনা
কিসে কে যে ব্যথা পায়, তবু
প্রতিটি প্রলয় শেষে নলিনাক্ষ এসে
হাত ধরে। বলে শান্ত হতে।

সারা গা’য়ে ভস্ম মেখে নলিনাক্ষ একা ঘোরে শ্মশানে মশানে।
সদ্য বিধবা হওয়া উষ্ণ রমণীকে
হাত ধরে নিরুদ্দেশে নিয়ে চলে যেতে গিয়ে তবু
লাফ দিয়ে নেমেপড়ে রেলগাড়ি থেকে।
নদীর কিনারে বসে তথাগতহেন
আমাকে বুঝিয়ে বলে শান্তি, নীড়, দাম্পত্যের কথা...


নলিনাক্ষ আছে বলে শুধু
মাঝে মাঝে ছেঁড়া ছাতা রাজছত্র হতে পারে আজো।
নলিনাক্ষ আছে বলে
আজো তুমি পাটরানী – অক্ষরের ইশারায়, ত্রাণে ...
নলিনাক্ষ আছে বলে আজো
আশা আছে  ফিরে যাওয়া যাবে
মৃত সে পাখির কাছে
জলেডোবা রাজার বাগানে।

ঘুম ঘর