সন্তদের দাহ্য বাচালতা
মৃত্যুশীল কেউই নয়।
প্রত্যেকেই নিজ বৃত্তে, নিজ পরিধিতে
প্রকৃত অমর।
বাজে পোড়া তালগাছটিকে কিছুকাল মনে রাখে
কাকপক্ষী এবং বালকও।
মৃতপুষ্পছায়াপাতে শ্লথ
হয়
ক্ষণজীবী পতঙ্গেরো পাখা ক্ষণতরে।
করণিক পিতা আর পুরোহিত দাদুর ছবিকে
বয়ে নিয়ে অমরতা দেয়
নাতি ও সন্ততি।
অশীতিকাতর বৃদ্ধ অকস্মাৎ একা বিছানাতে
মাতাকে স্বপ্নে দেখে শিশুহেন কাঁদে মধ্যরাতে।
পরিধি বিপুল বলে এতোকাল পরেও নিভৃতে
রবীন্দ্রনাথকে ভেবে গহনে আকূল হয়
লক্ষ লক্ষ অকবি জনতা
।
যুক্তিজালে বহুকাল বাতিল তবুও
আজো কেন মনে আসে ফিরে
আধোচেনা লেনিনের কথা?
প্রকৃত প্রস্তাবে, হয়, এ’ই,অমরতা।
এতদ্ভিন্ন আর সব
ভুতুড়ে কিচ্ছা,গপ্পো –
মৃত্যুভীত সন্তদের দাহ্য বাচালতা।