“আমার দে মা...”
আমার কিছুই নেই, হে নিষাদ, সমস্তই তাঁর।
কুমারীর যোনি গর্ভে বাঁশবনে হঠাৎ ঝাঁপানো
চিত্রল ব্যাঘ্রের মতো আত্নঘাতী দাহ্য অন্ধকার-
-সরস্বতী নদীতীরে ঋষিপুত্র, নীল বনচ্ছায়া-
অতীত শোকের মতো জবালার দিব্য স্তনভার-
আমার কিছুই নয়, হে নিষাদ, সমস্তই তাঁর।
দয়াপরবশ তিনি আমাকে কেবল এই তহবিলদারী
দিয়েছেন। এই নিদী, মাদী-মদ্দ, মস্ত জমিদারী
এবং জাহাজ, নৌকা, তলে তলে সুদের কারবার
আমার কিছুই নয়, হে নিষাদ, সমস্তই তাঁর।
হে নিষাদ, নিকষিত হেমহেন তাঁর প্রেমে জেনো
কোনোরূপ কামগন্ধ কোনোদিন ছিলনা কখনো।
তবুও কুমারী গুলি রাত্রে পোয়াতি হলে তাঁরি ইচ্ছাবশে
গর্ভপাতশেষে যায় মাসীদের সঙ্গে চলে কাশী বা বিদেশে।
কাল অসুঝ শেষে নব রজকিনি এসে
স্ব ইচ্ছায় বদ্ধ করে মায়াজালে তাঁহারে আবার।।
-তবু লোকে দোষ দেয় যত্রতত্র আমারই কেননা
গর্ভপাত জরিবুটিবাহী আমি তাঁর বশংবদ তহবিলদার…।