নিরীশ্বর প্রার্থনার গান
কোনোদিন কোনো গাছে নিজহাতে দিইনাই জল।
শুধাইনি তাদের কুশল।
আজ সেই কাজ করে তাই গভীরে কৃতার্থ হওয়া
গেলো।
পাতাগুলি তৃপ্তি জানালো-
ঝড়বৃষ্টি শেষ হলে পরিতৃপ্ত পাশ ফেরে যেমন
রমণী
যেভাবে শ্রাবণ এসে পূর্ণ করে মৃত্তিকার
যোনি...
পুরুষজন্মের মর্মে জমে থাকা যুগান্তের অগ্নি, হাহাকার
যেন আজ জলের আকার
নিতে চায় – ঝরে যেতে – প্রতি বৃক্ষে, প্রতিটি পাতাতে –
এভাবেই – কোনো যুগে – কোনো গ্রীষ্মরাতে
নিরীশ্বর এ প্রার্থনার গান
মেঘে মেঘে ছিল ভাসমান
ঝরেছিল প্রতি বৃক্ষে, প্রতিটি পাতাতে-
আমার এ পুরুষজন্ম
আমার এই জলঝারি সে’ও
মিশেছিল সে প্রথম বর্ষণের সাথে।