মিতুলদি’কে
১।
তোমাদের গলী, মনেপড়ে,
পারহয়ে, সোজাপথ ধরে
সাইকেলে ফকিরাবাজার –
কুশিয়ারা,মাঠ, কাঁটাতার...
তোমাদের গলী, মনেপড়ে,
পারহয়ে, সোজাপথ ধরে
সোম-বুধ-শুক্র আসা যাওয়া –
আমাদের রঞ্জিত স্যার ...
স্মৃতি ছাড়া অন্য কোনোখানে
পাবে সে শহর খুঁজে আর? ...
২।
তোমাদের কথা মনেপড়ে –
ন্যালাখ্যাপা ছোট্ট শহরে
পেয়েছি যে স্নেহ ও প্রশ্রয় ...
কে বলে নিজের দিদি নয়
অর্পিতাদি, তুমি বা মণিদি?
দোলাদি কোথায় থাকে আজ?
মেঘে মেঘে স্মৃতির কোলাজ ...
মেঘে মেঘে স্মৃতির কোলাজ,
বিষ্টিপড়ে বরাইল পাহাড়ে?
কথা শুধু, কথা মনেপড়ে ...
৩।
সুব্রতদা ছিল, ছিল তার
পাঠঘর, প্রায় পাঠাগার –
‘চিল্ড্রেন্স ডিটেকটিভ’এ ভরা
তাক ছিল জয়-সুমনদা’র ...
দীপুদা প্রাক্তন বিপ্লবী –
সন্দীপনদা – রং-তুলি-ছবি –
অকালেই পক্ক, ঝোলা কাঁধে
আমিত তখন থেকে কবি ...
নক্সীকাঁথায় বোনা মুখ –
স্মৃতি তুমি সুখ না অসুখ?
৪।
মনেপড়ে ‘রমণীমোহন’?
আর দুর্গা, রাধা, চিত্রবাণী?
“আসুন, ‘দেকুন’, শুক্রবারে
‘কাটা আউর গুল্ কি কাহানী’ ...
‘বিজ্লীমেয়ে’ নেতাজী মেলাতে
‘ইলেকটিক্’ তার গায়ে হাতে –
‘ভস্তক’এর বই, ‘দিল্লী চাট্’?
ভেঙ্গেপড়া রূপসীর হাট?
মনেপড়ে কংকাবতীকে –
ছিঁড়েফেলা চিঠি লিখে লিখে ...
৫।
হাম্বীরদা আর লাভিদির
তখন থেকেই দিন স্থির।
শহরের ঘোষিত যুগল –
আরকে জৈন শীল্ড, ফুটবল ...
এইসব কথাগুলি, ভাবি,
কোনোদিন কবিতা হবে কী?
জলে ধোয়া এইসব ছবি –
ছায়াআলো মেশা ঝিকিমিকি?
নক্সীকাঁথায় বোনা মুখ –
স্মৃতি তুমি সুখ না অসুখ?