যোগমাসি
‘যোগমাসি’র গল্পে
আসি এবার তাহলে। পুরো নাম যোগমায়া। সংক্ষেপে
‘যোগমাসি’। ছায়া
না’কি ভিন্ন কায়াতে বড়মাসি নিজে? সম্পর্ক-শোণিত
খুঁড়লে পুনরায় ১৯৪৭
সাল। জিন্নার ‘স্তান’ থেকে নেহেরুর ‘স্থান’ এ
ভাইবোন এসেছিল -
যেভাবে উদ্বাস্তু আসে, বুক বেঁধে স্বপ্ন-আশাতে।
নিয়তি কৌতুকবশে তাদেরকে
এনে রেখেগেলো আরেক উদ্বাস্তু-গৃহে,
মাতামহ আর তাঁর ভ্রাতাদের
ভিড়ের সংসারে। - সেই ‘আসা’। ‘যাই
বলতে নেই’ – যোগমাসি
আজো বলে দুয়ারে দাঁড়িয়ে।
‘স্থান’এর মাহাত্মবশে
যোগমায়ামাসির দাদাটি একদিন নেহেরুর
সেনাবাহিনীতে কাজ
পেলো তবে ছুটি হলে ফিরে আসতো
সেই উদ্বাস্তুর গৃহে,
মাতামহ আর তাঁর ভ্রাতাদের ভিড়ের সংসারে।
মাতামহ
আর তাঁর ভ্রাতাদের
ভিড়ের সংসার থেকে
বড়মাসি ‘পরের বাড়িতে’ ‘বধূ’ হয়ে যাওয়ার সময়
যোগমাসি এসেছিল সাথে।
- সেই ‘আসা’। ‘যাই বলতে নেই’ –
যোগমাসি আজো বলে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে। তারপর কবে যেন
যোগমাসি নিজে বড়মাসীদের
বাড়ি নিবিড় রেইনট্রি হয়ে আরেকজন
‘মাসি’ হয়েগেছে।
- যোগমাসি ছাড়া তাই অসম্পূর্ণ থাকে
বড়মাসীদের বাড়ি,
আমাদের শৈশব আর বড়মাসি নিজে।
যোগমায়া মাসিকে ভাবলেই কেন যেন
উইলিয়াম ব্লেকের “নার্সেস্
সঙ” মনে আসে।