প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, October 27, 2019

বড়মামা

বড়মামা
বছরে একবার আসতেন। এসেই মানচিত্র খুঁড়ে
অধুনা বিলুপ্তদের পোড়া মুখ, ফসিল, ঠিকানা,
সহৃদয় সংগ্রহে যাঁর আমরণ শ্রান্তি ছিলোনা –
তিনি বড়মামা। 'বড়ছেলে' ১৯৪৭ সালে ছিন্নমূল 
বৃহৎ সংসারের। কিছু মেধা, গুটিকয় মার্কশীট আর
বাকিটা দুঃসাহস নিয়ে কোনোক্রমে বিলেত পৌঁছানোর
ইতিহাস জানে শুধু ঘুণাক্ষরে লেখা এরোগ্রাম। 
বছরে একবার আসতেন। আসামাত্র
বৃদ্ধ এক টাইপযন্ত্র নিয়ে দরখাস্ত, আবেদন পত্র –
ভ্রাতা ও ভগিণীগণসহ অনেক অনাত্মীয়,আত্মিয়জনের
কুশলমঙ্গলার্থ চাকরি বা শিক্ষাতলাসে।
তিনি বড়মামা। 'বড়ছেলে' ১৯৪৭ সালে ছিন্নমূল 
বৃহৎ সংসারের। 
সঙ্গ, সংশ্রব বলতে দুয়েকবার দেখা আর কয়েকটি পত্র বিনিময়।
তথাপি স্পষ্ট দেখি ইস্টম্যানকালার পর্দাতে টাইপমেশিন নিয়ে বসা
বড়মামা, টানা বারান্দার প্রান্তে ছোটো কোঠাটিতে। দেখি
ট্রেনে, বাসে একা একা গ্রামেগঞ্জে ফেরা অধুনা বিলুপ্তদের
ফসিল সন্ধানে। অথবা বিলেতে চাকরি জোটার আগে
নিরক্ষর বা বুড়ো-বুড়ি 'এন আর আই' দের চিঠি বা টেলিগ্রাম লিখে
দিনান্তে কয়েক শিলিং সফলতা… 
'ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন' ছিল কিনা তখন, জানিনা, তবে ছিল
এসকল 'বড়ছেলে', 'বড়মেয়ে' গুলি ১৯৪৭ সালে ছিন্নমূল 
বহু পরিবারে। ছিলেন ঋত্বিক আর ছিল তাঁর 
'মেঘে ঢাকা তারা'।

ঘুম ঘর