ছোটোকাকু
তারপর একে একে শিবির
বিভিন্ন হয়েগেলো। অন্ন বিভিন্ন হয়েছিল,
হে ১৯৪৭ , আরো কিছুদিন
আগে, তোমার কল্যাণে। একটি শিবিরে
সেনাপতি পিতার মাতুল,
সদ্য বিধবা হওয়া আমার ঠাকুমা তাঁর
তুরুপের তাস। আরেক
শিবির আগ্লে দিদিভাই। বাবার পিসীমা।
‘দাস ক্যাপিটেল’এর
কসম, আবেগ বা অভিমানে নয় গহনে শিবিরগুলি
জন্মেছিল আয়-ব্যয়-স্থিতি
নিরিখেই। ১৯৪৭ সাল তা’ই চেয়েছিল।
বাজারে গুজব এই শিবিরে
শিবিরে নাকি প্রকাশ্য সমরও হয়েছে। হে পাঠক,
গো পাঠিকা, শিবিরের
এমনই মহিমা – আমরা কেলাস ফোর-ফাইভ অব্দিও
জানতামই না ছোটোপিসী
ছাড়া আমাদের দুয়েকজন আরো পিসী আছে
এবং ঠাকুমা আছেন,
সুভাষনগর স্কুলে, প্রধান শিক্ষিকা। ঠাকুমার
বড়ছেলে, বাবা, সেনাপতি
দিদিভাই শিবিরের আর ছোটোপিসী, ঠাকুমার
সব ছোটো মেয়ে।
হে
১৯৪৭ সাল, শিবিরের এ জটিল কাহিনী ছাড়িয়ে
একটু উঁচুতে ছিল
আরেকজন বেঁটেখাটো ফর্সা মানুষ। হাসিখুশি। শিবির
কখনো তাকে আটকে রাখতে
পারেনি কোথাও। শিবিরের আইন ভেঙ্গে
সে আমাকে নিয়ে আমাদের
মামাবাড়ি গেছে, ছোটোপিসীর নাচের ফাংশান
ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরী
হলে, দেখিয়েছে কাঁধে তুলে সে’ই। দীপাবলী সন্ধ্যাবেলা
বাজি নিয়ে হাজির
হয়েছে ঠাকুমা শিবির থেকে দিদিভাই-শিবিরে অবলীল।
মানুষটি বেঁটেখাটো
তবে অনেক অনেক উঁচু ওই সব শিবির আর সৈন্য আর
হে ১৯৪৭ সাল, তোমার
আকাশছোঁয়া দেওয়ালের চেয়ে।