মাতামহ
সযত্নে রেখেছি মাতামহ,
আপনার দিনলিপি, ব্রাউন পেপারে মুড়ে,
মোটা খামে, নিবিড়
দেরাজে। যেটুকু মুদ্রিত তা পাঠ করে আমি
আপনাকে প্রথমবার
জেনেছি প্রকৃত, আপনার মৃত্যুসাল আমি
যদিও অদ্যাবধি সঠিক
জানিনা।
যেটুকু
মুদ্রিত তা’তে আপনার
দাঁড়ি,কমা, যতি ও
অক্ষরে অভিভূত হওয়া সত্ত্বেও বাকিটুকু
পাঠে আজো ভীত। যদিও
রাত্রি জেগে খুলে বসবো ভাবি আপনার
অমুদ্রিত দিনলিপিখাতা,মোমের
আলোতে তবু দেরাজের কাছে
গিয়েও পিছিয়ে আসি,
মাতামহ, ভয়ে না’কি অপরাধবোধে?
১৯৪৭ সাল আজো, মাতামহ,
গুপ্তঘাতকহেন আমার পেছনে ঘোরে
রক্তমোছা ছুরি হাতে
নিয়ে। তাই ভয় করে আপনার দিনলিপিগত
কোনোও অক্ষর, যতি,
বাক্য-অংশ যদি ওই গুপ্তঘাতকের চোখে
দুঃসাহসী চেয়ে দেখতে
বলে, যদি বলে খুঁজে আনতে
হারানো, পোড়ানো মুখ
৪৭’এর অক্ষ কিংবা দ্রাঘিমার থেকে?
তাহলে এ দাহ্য আমি,
মাতামহ, কোন পথে, কোথায় পালাবো?
মানুষ
জীবিত ছিল কোথাও, কখনো –
তার সাক্ষবহ আপনার
এ দিনলিপি আমি সযত্নে রেখেছি মাতামহ,